অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : জাতীয় স্বার্থ তথা জলবায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নিয়েছে ভারতীয় রেল। এর অংশ হিসেবে ডিজেল চালিত ইঞ্জিনের পরিবর্তে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হাইড্রোজেন ট্রেন আত্মপ্রকাশের ভাবনা বহুদিন ধরেই ছিল। অবশেষে সেটি দিনের আলোর মুখ দেখতে চলেছে। চলতি বছরই ঘুরবে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভারতের প্রথম হাইড্রোজেন ট্রেনের চাকা।
সম্প্রতি এমনই আভাস দেওয়া হয়েছে রেল মন্ত্রণালয়ের তরফে। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, গতানুগতিক ট্রেনের তুলনায় অনেকটাই ছোট হবে এই হাইড্রোজেন ট্রেন। সব মিলিয়ে ছয় থেকে আট বগির হবে।
২০১৬ সালে প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে স্বাক্ষর করা ভারত সরকারের এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। দূষণ থেকে পরিত্রাণ পেতে সারা বিশ্ব যখন যানবাহনে প্রাকৃতিক জ্বালানির সফল প্রয়োগে মরিয়া, তখন দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভারতের এই হাইড্রোজেন ট্রেনের উদ্যোগ প্রশংসনীয় বটে।
এমনিতেই রোড ট্রান্সপোর্টেশনের তুলনায় রেলযাত্রা অনেক বেশি পরিবেশবান্ধব। হাইড্রোজেন ট্রেনের আত্মপ্রকাশ রেলযাত্রাকে আরও পরিবেশবান্ধব করে তুলবে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
গত বছরের অগস্টে প্রথম হাইড্রোজেন চালিত প্যাসেঞ্জার ট্রেনের আত্মপ্রকাশ হয় জার্মানিতে। দেশটিতে ৬২ মাইল এলাকাজুড়ে এখন ১৪টি হাইড্রোজেন ট্রেন চলাচল করে।
সাড়ে চার কেজি ডিজেল থেকে উৎপাদিত শক্তি মাত্র এক কেজি হাইড্রোজেন থেকে উৎপাদিত শক্তির সমান। শব্দদূষণ রোধেও উপযোগী এই হাইড্রোজেন ট্রেন। পাশাপাশি পৃথিবীতে এর জোগানও অফুরান। কারণ, সমুদ্রের পানি থেকে এটি উৎপাদন সম্ভব। আর গতিও কোনও কারণে বাধা হবে না। হাইড্রোজেন ট্রেন ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৪০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে সক্ষম বলে জানা গেছে।
Leave a Reply